হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল বাংলাদেশ!

মাত্র ২৫ বলে ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েই মাঠ ছাড়লেন নাসির ও মাহমুদউল্লা
মাত্র ২৫ বলে ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েই মাঠ ছাড়লেন নাসির ও মাহমুদউল্লাহ
এএফপি
বাংলাদেশের পথটা এখনো কঠিন। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেলতে হলে পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যেমন হারাতে হবে, তাকিয়ে থাকতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের দিকেও। তবে কাল জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারানোর পর একটা প্রাপ্তি অন্তত হাতে উঠল। হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল বাংলাদেশ!
ঊরুর পেশির ইনজুরির কারণে আগের ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকা ওপেনার তামিম ইকবাল ফিরেছেন কাল। তবে জিম্বাবুয়ের ৮ উইকেটে করা ১৪৯ রানের জবাবে বাংলাদেশের জয় সহজ হয়েছে মূলত মিডল অর্ডারের ব্যাটিংয়ে।

৬.৫ ওভারে ৫২ রান তুলতেই ওপরের দিকের তিন ব্যাটসম্যান নেই। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ দল বুঝি থেকে যাবে ব্যর্থতার বৃত্তেই। তবে আগের ম্যাচের মতো অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জ্বলে উঠলেন কালও। নাসির হোসেন দেখালেন তাঁর সামর্থ্য। সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও কাঁধে তুলে নিলেন দায়িত্ব। বাংলাদেশকে সিরিজে টিকিয়ে রাখা জয়টা এনে দিয়েছেন মূলত এই তিন ব্যাটসম্যানই। তবে জিম্বাবুয়েকে দেড় শ রানের মধ্যে আটকে রাখায় বড় কৃতিত্ব মাশরাফি বিন মুর্তজার। ৪ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে তিনিই ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
দলের ৫২ রানের মধ্যে তামিম, আশরাফুল আর আনামুলকে হারানের পর চতুর্থ উইকেটে মুশফিক-নাসির মিলে ঠেকিয়েছেন বিপর্যয়। জয়ের লক্ষ্য খুব বড় না হওয়ায় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের তুলনায় একটু ধীরে-সুস্থেই এগোচ্ছিল এই জুটি। ৪৭ রানের জুটি ৬ ওভার ৩ বলে। মুশফিকুর রহিমের ২৩ বলে ৩১ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি নেই একটিও। এমনকি নাসিরের সঙ্গে তাঁর পুরো জুটিতেই বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি বলতে একটা ছক্কা। ক্রেমারকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ওই ছক্কাটা মারার দুই বল পরই রান আউট হয়ে যান মুশফিক।
অধিনায়কের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান নাসির। মুশফিক আউট হওয়ার আগে ২০ বলে ২০ রান করলেও কোনো বাউন্ডারি আসেনি তাঁর ব্যাটে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটিতেও বেশ সতর্ক ছিলেন। ৩১ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসে নাসিরের চার তিনটা, তিনটাই মেরেছেন পোফুর করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে। তবে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট ভালোই চলেছে। ১৪ বলে অপরাজিত ২৯, তিন বাউন্ডারির সঙ্গে বাড়তি অলংকার জারভিসকে পুল শটে মারা ছক্কা। নাসিরের সঙ্গে ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে চিগুম্বুরাকে পর পর দুই চার মেরে ম্যাচ জিতিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। অবশ্য ওই ওভারের প্রথম বলেই ডিপ কাভারে মাসাকাদজার হাত থেকে পড়েছে তাঁর সহজ ক্যাচ।
তার পরও এই মাসাকাদজাই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সেরা খেলোয়াড়। আগের দুই ম্যাচের পর ফিফটি করেছেন কালও। তার ৫৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই দেড় শর কাছাকাছি গেছে জিম্বাবুয়ে। 
আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তামিম ও আবুল হাসানের বদলে খেলবেন জুনায়েদ ও ফরহাদ রেজা।

Comments

Popular posts from this blog

Bangladesh Police Tel No.

Footer1

দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা